সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের নামে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে প্লট হস্তান্তর সংক্রান্ত অনিয়ম ও বিধি লঙ্ঘনের অভিযোগে অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত নিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
বৃহস্পতিবার দুদকের প্রধান কার্যালয়ে এক নিয়মিত মিডিয়া বিফ্রিংয়ে দুদকের মহাপরিচালক মো. আক্তার হোসেন এ তথ্য জানিয়েছেন।
দুদক জানায়, ২০০৩ সালে পূর্বাচল নতুন শহর প্রকল্পে ১০ কাঠার প্লট বরাদ্দ পান বিচারপতি খায়রুল হক। প্লট বরাদ্দের শর্ত মোতাবেক প্রথম কিস্তির সাড়ে ছয় লাখ টাকা পরিশোধ না করায় রাজউক বরাদ্দ বাতিলের সিদ্ধান্ত গ্রহণ করে। তিনি পরবর্তীতে ২০০৯ সালে বিগত সরকারের সংশ্লিষ্ট অধিদপ্তর ও মন্ত্রণালয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে পুনরায় আইন ও বিধি বহির্ভূতভাবে প্লট হস্তান্তর গ্রহণ করেন। এখানে পুরো টাকা না দিয়ে ৬ বছর পূর্বের প্রথম কিস্তির টাকার চেক জমা দেন, যা নগদায়ন হয়নি। তারপরেও অবসর গ্রহণের পরে যাবতীয় পাওনা পরিশোধের শর্তে তাকে অবৈধভাবে প্লট হস্তান্তর করা হয়।
দুদক আরও জানায়, ফ্যাক্ট ফাইন্ডিং কমিশনের অংশ হিসেবে রাজধানী উন্নয়ন কর্তৃপক্ষ (রাজউক) ও গণপূর্ত মন্ত্রণালয়ের অসাধু কর্মকর্তাদের যোগসাজশে সাবেক প্রধান বিচারপতি এবিএম খায়রুল হকের বিধি বহির্ভূতভাবে প্লট হস্তগত করার অভিযোগটি কমিশন কর্তৃক অনুসন্ধানের সিদ্ধান্ত গৃহীত হয়।